প্রিয় মুশতাক ভাই, আপনার বই 'কুমির চাষির ডায়েরি' গতকাল হাতে এসে পৌঁচেছে। এরমধ্যে নিউ ইয়র্কে যাওয়া হয় নি বলে ভাবী আমার কাছে পাঠিয়ে দিল। রাতেই পড়া শেষ করেছি। তবে এই রিভিউ আজকে লিখতে বসলাম।
.
বইয়ের বেশকিছু অংশ ফেইসবুকে আপনার ওয়ালে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তবে লক্ষ্য করলাম, যে চূড়ান্ত বইয়ে আরও অনেক তথ্য সংযোজন করেছেন। অবশ্যই এতে করে 'কুমির চাষির ডায়েরি' একটা মূল্যবান দলিলে পরিণত হয়েছে।
.
প্রথমত, বইয়ের নামটা যেমন প্রাসঙ্গিক, ঠিক তেমনি সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য। এর ফলে সবার কাছে এর আবেদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই আমার ধারণা। প্রচ্ছদও সাধারণ অথচ মনোমুগ্ধকর। তা'ছাড়া প্রতিটা পাতায় বইয়ের নামের সাথে কুমিরের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা খুব সাধারণ বলে মনে হলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের পথিকৃৎ হিসাবে আপনার জন্য নিঃসন্দেহে এক সার্থক 'ব্র্যান্ড' তৈরি হয়েছে।
.
দ্বিতীয়ত, এই বইয়ে ব্যবহৃত কাগজের মান যথেষ্ট উন্নত। সর্বোপরি, বইটার বিষয়বস্তু এত ব্যতিক্রমধর্মী, যে এর পাশে পাল্লা দেওয়ার মত কোন বই এনে খাড়া করা দুরূহ ব্যাপার। বইয়ে বর্ণিত সমস্ত তথ্য একজন এন্ট্রেপ্রেনিউর হিসাবে আপনার নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ, যা' সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং, একজন পাঠক হিসাবে আমিও সেই যাত্রায় অনায়াসে শরিক হতে পেরেছি। বিরল তথ্য জানতে আগ্রহী পাঠকের জন্য এই বই অবশ্যই মূল্যবান পাঠ। এমন লেখা সহজে প্রকাশিত হয় বলে আমার জানা নাই।
.
বলার অপেক্ষা রাখে না, যে আপনি কুমির চাষের ব্যাপারে খুব যত্নবান এবং নিবেদিতপ্রাণ বলেই এসম্পর্কিত যাবতীয় কাগজপত্র এবং তথ্যাদি নিষ্ঠার সাথে সংরক্ষণ করেছেন। সেই প্রামাণিক দলিল 'পরিশিষ্ট' শিরোনামে সংযোজন করায় এই বইয়ের ঐতিহাসিক মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
.
তা'ছাড়া প্রতিটা অধ্যায়ের শুরুতে সেই অংশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবনা উপস্থাপন করে বইপাঠের এক সুন্দর আমেজ সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে সাত নম্বর অধ্যায়ে ভাবীর সাথে আপনার আলাপের সূত্রপাত কিভাবে হল এবং কিভাবে তা' ঘনিষ্ঠতায় রূপ নিল, সেই ব্যাপারে জানতে পেরে ভাল লাগলো।🙂 তবে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে মজা পেতাম।🙃
.
যদিও বই প্রকাশনার ব্যাপারে আমি মোটেও বোদ্ধা নই, তবুও এবার কিছু বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ক'টা জিনিসের ক্ষেত্রে আরেকটু লক্ষ্য রাখলে বইয়ের মান আরও উন্নত হত বলে আমার ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, জ্যাকেট কাভার বা ফ্ল্যাপে লেখক পরিচিতির শুরু এবং শেষাংশ ওলটপালট হয়েছে বলে মনে হয়। এছাড়াও মুদ্রণে ছোটখাটো ত্রুটি লক্ষ্যণীয়।
.
রঙিন ছবিগুলা রঙ-সহকারে উপস্থাপন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হত, যদিও তা'তে প্রকাশনার খরচ কিছুটা বেড়ে যেত। সেইক্ষেত্রে সাদা-কালোয় ছাপানোর আগে কন্ট্রাস্ট / ব্রাইটনেস-এর তারতম্য ঘটিয়ে হাল্কা করে ছাপালে ছবিগুলা দুর্বোধ্য হত না। যেমন, ৭২ নম্বর পৃষ্ঠায় 'সদ্যজাত কুমির ছানা' শীর্ষক ছবি ঐ ক্যাপশন ছাড়া কিন্তু বুঝা কষ্টসাধ্য। একথা আরও বেশ ক'টা ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এই সামান্য ত্রুটিগুলা বইয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের খাতিরে পরবর্তী সংস্করণে খুব সহজে শুধরে নেওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি নিশ্চিত, যে এটা সবে শুরু; আগামীতে আপনার কাছ থেকে আমরা আরও অনেক লেখা উপহার পাবো।
.
এমন একটা মূল্যবান বই সৌজন্য সংখ্যা হিসাবে আমার কাছে দেশ থেকে কষ্ট করে পাঠিয়েছেন বলে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এই বইপ্রাপ্তির সুবাদে আমার আম্মিও পাঠকের তালিকায় সংযুক্ত হয়েছেন! বাস্তবে যদি কখনও দেখা হয়, তাহলে আপনার কাছ থেকে অটোগ্রাফ জোগাড় করে নেওয়ার আশা রাখছি। ভাল থাকবেন। ভাবীকে সালাম দিবেন। আপনাদের জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। fahmida hussain
.
বইয়ের বেশকিছু অংশ ফেইসবুকে আপনার ওয়ালে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তবে লক্ষ্য করলাম, যে চূড়ান্ত বইয়ে আরও অনেক তথ্য সংযোজন করেছেন। অবশ্যই এতে করে 'কুমির চাষির ডায়েরি' একটা মূল্যবান দলিলে পরিণত হয়েছে।
.
প্রথমত, বইয়ের নামটা যেমন প্রাসঙ্গিক, ঠিক তেমনি সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য। এর ফলে সবার কাছে এর আবেদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই আমার ধারণা। প্রচ্ছদও সাধারণ অথচ মনোমুগ্ধকর। তা'ছাড়া প্রতিটা পাতায় বইয়ের নামের সাথে কুমিরের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা খুব সাধারণ বলে মনে হলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের পথিকৃৎ হিসাবে আপনার জন্য নিঃসন্দেহে এক সার্থক 'ব্র্যান্ড' তৈরি হয়েছে।
.
দ্বিতীয়ত, এই বইয়ে ব্যবহৃত কাগজের মান যথেষ্ট উন্নত। সর্বোপরি, বইটার বিষয়বস্তু এত ব্যতিক্রমধর্মী, যে এর পাশে পাল্লা দেওয়ার মত কোন বই এনে খাড়া করা দুরূহ ব্যাপার। বইয়ে বর্ণিত সমস্ত তথ্য একজন এন্ট্রেপ্রেনিউর হিসাবে আপনার নিজ অভিজ্ঞতালব্ধ, যা' সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং, একজন পাঠক হিসাবে আমিও সেই যাত্রায় অনায়াসে শরিক হতে পেরেছি। বিরল তথ্য জানতে আগ্রহী পাঠকের জন্য এই বই অবশ্যই মূল্যবান পাঠ। এমন লেখা সহজে প্রকাশিত হয় বলে আমার জানা নাই।
.
বলার অপেক্ষা রাখে না, যে আপনি কুমির চাষের ব্যাপারে খুব যত্নবান এবং নিবেদিতপ্রাণ বলেই এসম্পর্কিত যাবতীয় কাগজপত্র এবং তথ্যাদি নিষ্ঠার সাথে সংরক্ষণ করেছেন। সেই প্রামাণিক দলিল 'পরিশিষ্ট' শিরোনামে সংযোজন করায় এই বইয়ের ঐতিহাসিক মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
.
তা'ছাড়া প্রতিটা অধ্যায়ের শুরুতে সেই অংশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবনা উপস্থাপন করে বইপাঠের এক সুন্দর আমেজ সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে সাত নম্বর অধ্যায়ে ভাবীর সাথে আপনার আলাপের সূত্রপাত কিভাবে হল এবং কিভাবে তা' ঘনিষ্ঠতায় রূপ নিল, সেই ব্যাপারে জানতে পেরে ভাল লাগলো।🙂 তবে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে মজা পেতাম।🙃
.
যদিও বই প্রকাশনার ব্যাপারে আমি মোটেও বোদ্ধা নই, তবুও এবার কিছু বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ক'টা জিনিসের ক্ষেত্রে আরেকটু লক্ষ্য রাখলে বইয়ের মান আরও উন্নত হত বলে আমার ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, জ্যাকেট কাভার বা ফ্ল্যাপে লেখক পরিচিতির শুরু এবং শেষাংশ ওলটপালট হয়েছে বলে মনে হয়। এছাড়াও মুদ্রণে ছোটখাটো ত্রুটি লক্ষ্যণীয়।
.
রঙিন ছবিগুলা রঙ-সহকারে উপস্থাপন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হত, যদিও তা'তে প্রকাশনার খরচ কিছুটা বেড়ে যেত। সেইক্ষেত্রে সাদা-কালোয় ছাপানোর আগে কন্ট্রাস্ট / ব্রাইটনেস-এর তারতম্য ঘটিয়ে হাল্কা করে ছাপালে ছবিগুলা দুর্বোধ্য হত না। যেমন, ৭২ নম্বর পৃষ্ঠায় 'সদ্যজাত কুমির ছানা' শীর্ষক ছবি ঐ ক্যাপশন ছাড়া কিন্তু বুঝা কষ্টসাধ্য। একথা আরও বেশ ক'টা ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এই সামান্য ত্রুটিগুলা বইয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের খাতিরে পরবর্তী সংস্করণে খুব সহজে শুধরে নেওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি নিশ্চিত, যে এটা সবে শুরু; আগামীতে আপনার কাছ থেকে আমরা আরও অনেক লেখা উপহার পাবো।
.
এমন একটা মূল্যবান বই সৌজন্য সংখ্যা হিসাবে আমার কাছে দেশ থেকে কষ্ট করে পাঠিয়েছেন বলে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এই বইপ্রাপ্তির সুবাদে আমার আম্মিও পাঠকের তালিকায় সংযুক্ত হয়েছেন! বাস্তবে যদি কখনও দেখা হয়, তাহলে আপনার কাছ থেকে অটোগ্রাফ জোগাড় করে নেওয়ার আশা রাখছি। ভাল থাকবেন। ভাবীকে সালাম দিবেন। আপনাদের জন্য নিরন্তর দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। fahmida hussain
No comments:
Post a Comment